বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য যা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘টিকা গ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই। করোনা থেকে সুরক্ষায় এই টিকা নেওয়া জরুরি। যতদিন প্রয়োজন এ কর্মসূচি চলবে।’
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় তিনি জনগণকে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘করোনা নিয়ে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছিল। এ জন্য সারাপৃথিবী স্থবির ছিল। কিন্তু স্থবিরতার মধ্যেও আমরা আমাদের অর্থনীতি গতিশীল রেখেছি। করোনা চিকিৎসায় চিকিৎসকদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিশ্রম করেছেন। সব ফ্রন্টলাইনাররা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোভিডের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। এ কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘দেশে সফলভাবে কোভিড মোকাবিলা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সফলভাবে জনগণের জন্য টিকা নিশ্চত করছেন। জনগণ কোনও বিভ্রান্তি ছড়ায় টিকা নেবে। অনেক দেশ এখনও টিকা দেওয়া শুরু করতে পারেনি, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর একাগ্রতায় এটা সম্ভব হয়েছে।’ করোনা শনাক্তে সারাদেশে ১১৭টি ল্যাব রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ১০টি বুথে সকাল ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত চলবে টিকাদান কর্মসূচি। প্রতিদিন শতাধিক ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করলেও তিনি টিকা নেননি। উদ্বোধন শেষে প্রথম টিকা নেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. এবিএম মাকসুদুল আলম। পরে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা ছাড়াও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নার্সরা টিকা নেন।
এসএস